হিন্দু কালচার আর হিন্দুয়ানি কালচার এবং মুসলমান কালচার আর মুসলমানি কালচারের মধ্যে তফাৎ অনেকেই বোঝেন না। হিন্দু কালচার হইল হিন্দু যে কালচার চর্চা করে তা। কিন্তু হিন্দুয়ানি কালচার মানে যিনি হিন্দু নন তিনি যখন হিন্দুর কালচার চর্চা করেন। যেমন মুসলমান বা সেক্যুলার যখন দুর্গা পূজায় যায় তখন সেইটা হিন্দুয়ানি কালচার। আবার যিনি মুসলমান নন তিনি যখন ঈদ করবেন বা রোজা রাখবেন তখন তার জন্যে সেইটা মুসলমানি কালচার। অর্থাৎ ধর্মের বৃত্তের মধ্যে কালচার সর্বদা আবদ্ধ থাকে না। কালচারের এই ধর্ম-অতিক্রমী চরিত্রটি হিন্দু বা মুসলমান সকলের কাছেই ঘোরতর আপত্তির বিষয়। এই আপত্তিরে অগ্রাহ্য কইরাই সেক্যুলারগণ হিন্দুয়ানি ও মুসলমানি কালচারের চর্চা করেন। হিন্দুয়ানি ও মুসলমানি কালচারের বিবেচনায় ধর্মের আইকনগুলিরে জায়গা দেওয়ার হিসাবে মঙ্গল শোভাযাত্রা এখনও পর্যন্ত হিন্দুয়ানি কালচারই বটে। এবং সেক্যুলারদের পক্ষ থেকে মঙ্গল শোভাযাত্রায় মুসলমানি কালচারের সমন্বয় তৈরি করতে না পারলে এইটা কেবলই হিন্দুয়ানি কালচারই থাইকা যাবে এবং ইসলামি ধর্মবেত্তাগণ এর বিরোধিতা করতে থাকবেন। তাদের বিরোধিতার মুখে সরকারের সহায়তায় মঙ্গল শোভাযাত্রা দ...