Skip to main content

সাম্রাজ্যবাদীদের গু কারা পরিষ্কার করে ~ব্রাত্য রাইসু

দুনিয়ায় যত অবিচার হয় অ্যাকটিভিস্টরা আগাইয়া আইসা তা গোছগাছ করে, শান্তি আনে, কবুতর উড়ায়।

শক্তিমানদের ল্যাঞ্জা এই অ্যাকটিভিস্টরা ঠিক করে কোথায় সহানুভূতি দেখানো যাবে ও যাবে না। কোথায় হেরা লোকের হাত ধইরা খাড়াবে, কোথায় খাড়াবে না। কারণ অ্যাকটিভিস্টরা শক্তিমানদের ঘরজামাই।

তারা সালিশের মাধ্যমে গুলি ও হত্যা এড়াইতে দেয় আপনারে। শক্তিমানদের মানুষ হত্যার খরচাদি বাঁচায়, রাজনৈতিক স্থিতাবস্থা সফট-সফট রাখে।

মুসলমানদের মৃত্যুতে আপনি একজন গাজাবাসী হয়তো ইজরাইলের বিরুদ্ধে প্রাণ দিতে প্রস্তুত। অ্যাকটিভিস্ট বলবে, তুমি কেন ফাইট দিবা, কোথায় দিবা, তুমি বরং অ্যাকটিভিজম করো, আর অ্যাকটিভিজম করতে হইলে আগে দুনিয়ায় ছোটলোকদের প্রতি করা অবিচার নিয়া কথা বলো, কিন্তু যারা অবিচার করে তাদের বিরুদ্ধে চুপ থাকো! তোমার নিজের দেশ নিয়া উত্তেজিত হইয়ো না, আগে পৃথিবীর সকল অসাম্য দূর হউক!

মুসলমান যদি বলে, মুসলমান মুসলমানের ভাই—অ্যাকটিভিস্ট বলবে দুনিয়ায় অন্য জাত আছে না, ধর্ম আছে না, খালি 'মুসলমান' 'মুসলমান' করো কেন!

এক ধর্মে দুনিয়ার সকল অসাম্য যায় না বইলাই নিপীড়িত লোকে অন্য ধর্মে আশ্রয় নেয়। সেইটা কখনো আস্তিকতার, কখনো পৌত্তলিকতার কখনো বা নাস্তিকতার ধর্ম। যেই ধর্ম আমার না সেই ধর্মরে আমি আমার ভাবতে যাব কোন দুঃখে?

ধর্মের ভিতরকার দ্বন্দ্বগুলারে অ্যাকটিভিস্টরা তাদের পাওয়ার হাউজগুলার সহায়তায় গণতান্ত্রিক দালালি ক্রিয়ার মাধ্যমে যেন-নাই কইরা দিতে চায়।

রোহিঙ্গাদের মায়ানমারে মারা হয় বৌদ্ধদের ধার্মিকতার তরফ থিকা। এখন রোহিঙ্গারা ইসলাম ছাড়া কোন ধর্মের আশ্রয় প্রার্থনা করবে? হিন্দুরা, বৌদ্ধরা কি আগাইছে নাকি রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে? না আগাইলেই বা দোষের তাতে কী? দেশ যেমন লোকের দেশ, ধর্মও তেমনি ধার্মিকের দেশ।

সো যেইটা ধর্মের সাপোর্ট, যেইটা আপনারে রাজনৈতিক শক্তি দিবে আপনি তা বাদ দিয়া বিল ক্লিনটনের মানবতাবাদ নিয়া আগাইবেন? যেহেতু উনি চাইলে ইজরাইল গাজায় দুইটা বোমা কম মারবে, সেই জন্যে?

শক্তিই আসল কথা।

চীন সীমান্তে ইন্ডিয়া ভিজা বিলাই, বাংলাদেশ সীমান্তে তিনি বাঘ, শুটিং প্র্যাকটিস করেন। বাংলাদেশ যদি বৃহৎ ইসলামিক শক্তির অংশ হইত তাইলে এইটা সম্ভব হইত না।

ছোট দেশগুলার একত্রিত শক্তি আসবে অতি অবশ্যই ধর্ম থিকা। নিরপেক্ষতা সাম্রাজ্যবাদের বা বড় শক্তির শোষণের যন্ত্র। ও দিয়া আপনি নিয়মিত সাম্রাজ্যবাদীদের গু পরিষ্কার ক‌ইরা আপনাপন দেশে জড়ো করতে পারবেন বড় জোর!

— ব্রাত্য #রাইসু ১২/৭/২০১৪

Comments

Popular posts from this blog

এ কালো সূর্যের কালো জ্যোৎস্নায় কালো বন্যায় ~ দাউদ হায়দার

জন্ম আমার কালো সূর্যের কালো জ্যোৎস্নার কালো বন্যায় ভেসে এসেছি তোমাদের এই তিলোত্তমা শহরে কল্পিত ঈশ্বর আমার দোসর; পায়ে তার ঘুঙুর; হৃদয়ে মহৎ পূজো চুনকামে মুখবয়ব চিত্রিত; আ...

এই মৃত্যু উপত্যকা আমার দেশ না - নবারুণ ভট্টাচার্য

যে পিতা সন্তানের লাশ সনাক্ত করতে ভয় পায় আমি তাকে ঘৃণা করি- যে ভাই এখনও নির্লজ্জ স্বাভাবিক হয়ে আছে আমি তাকে ঘৃণা করি- যে শিক্ষক বুদ্ধিজীবী কবি ও কেরাণী প্রকাশ্য পথে এই হত্যার প্রতিশোধ চায় না আমি তাকে ঘৃণা করি- আটজন মৃতদেহ চেতনার পথ জুড়ে শুয়ে আছে আমি অপ্রকৃতিস্থ হয়ে যাচ্ছি আট জোড়া খোলা চোখ আমাকে ঘুমের মধ্যে দেখে আমি চীৎকার করে উঠি আমাকে তারা ডাকছে অবেলায় উদ্যানে সকল সময় আমি উন্মাদ হয়ে যাব আত্মহ্ত্যা করব যা ইচ্ছা চায় তাই করব। কবিতা এখনই লেখার সময় ইস্তেহারে দেয়ালে স্টেনসিলে নিজের রক্ত অশ্রু হাড় দিয়ে কোলাজ পদ্ধতিতে এখনই কবিতা লেখা যায় তীব্রতম যন্ত্রনায় ছিন্নভিন্ন মুখে সন্ত্রাসের মুখোমুখি-ভ্যানের হেডলাইটের ঝলসানো আলোয় স্থির দৃষ্টি রেখে এখনই কবিতা ছুঁড়ে দেওয়া যায় ’৩৮ ও আরো যা যা আছে হত্যাকারীর কাছে সব অস্বীকার করে এখনই কবিতা পড়া যায় লক-আপের পাথর হিম কক্ষে ময়না তদন্তের হ্যাজাক আলোক কাঁপিয়ে দিয়ে হত্যাকারীর পরিচালিত বিচারালয়ে মিথ্যা অশিক্ষার বিদ্যায়তনে শোষণ ও ত্রাসের রাষ্ট্রযন্ত্রের মধ্যে সামরিক-অসামরিক কর্তৃপক্ষের বুকে কবিতার প্রত...