Skip to main content

Posts

এ কালো সূর্যের কালো জ্যোৎস্নায় কালো বন্যায় ~ দাউদ হায়দার

জন্ম আমার কালো সূর্যের কালো জ্যোৎস্নার কালো বন্যায় ভেসে এসেছি তোমাদের এই তিলোত্তমা শহরে কল্পিত ঈশ্বর আমার দোসর; পায়ে তার ঘুঙুর; হৃদয়ে মহৎ পূজো চুনকামে মুখবয়ব চিত্রিত; আ...
Recent posts

সাম্রাজ্যবাদীদের গু কারা পরিষ্কার করে ~ব্রাত্য রাইসু

দুনিয়ায় যত অবিচার হয় অ্যাকটিভিস্টরা আগাইয়া আইসা তা গোছগাছ করে, শান্তি আনে, কবুতর উড়ায়। শক্তিমানদের ল্যাঞ্জা এই অ্যাকটিভিস্টরা ঠিক করে কোথায় সহানুভূতি দেখানো যাবে ও যা...

মঙ্গল শোভাযাত্রায় যা নাই ~ রাইসু

হিন্দু কালচার আর হিন্দুয়ানি কালচার এবং মুসলমান কালচার আর মুসলমানি কালচারের মধ্যে তফাৎ অনেকেই বোঝেন না। হিন্দু কালচার হইল হিন্দু যে কালচার চর্চা করে তা। কিন্তু হিন্দুয়ানি কালচার মানে যিনি হিন্দু নন তিনি যখন হিন্দুর কালচার চর্চা করেন। যেমন মুসলমান বা সেক্যুলার যখন দুর্গা পূজায় যায় তখন সেইটা হিন্দুয়ানি কালচার। আবার যিনি মুসলমান নন তিনি যখন ঈদ করবেন বা রোজা রাখবেন তখন তার জন্যে সেইটা মুসলমানি কালচার। অর্থাৎ ধর্মের বৃত্তের মধ্যে কালচার সর্বদা আবদ্ধ থাকে না। কালচারের এই ধর্ম-অতিক্রমী চরিত্রটি হিন্দু বা মুসলমান সকলের কাছেই ঘোরতর আপত্তির বিষয়। এই আপত্তিরে অগ্রাহ্য কইরাই সেক্যুলারগণ হিন্দুয়ানি ও মুসলমানি কালচারের চর্চা করেন। হিন্দুয়ানি ও মুসলমানি কালচারের বিবেচনায় ধর্মের আইকনগুলিরে জায়গা দেওয়ার হিসাবে মঙ্গল শোভাযাত্রা এখনও পর্যন্ত হিন্দুয়ানি কালচারই বটে। এবং সেক্যুলারদের পক্ষ থেকে মঙ্গল শোভাযাত্রায় মুসলমানি কালচারের সমন্বয় তৈরি করতে না পারলে এইটা কেবলই হিন্দুয়ানি কালচারই থাইকা যাবে এবং ইসলামি ধর্মবেত্তাগণ এর বিরোধিতা করতে থাকবেন। তাদের বিরোধিতার মুখে সরকারের সহায়তায় মঙ্গল শোভাযাত্রা দ...

কালীসাধক নজরুল ছিলেন শাক্তধর্মের অনুসারী হিন্দু : প্রমী

কাজী নজরুল ইসলাম ছিলেন তাঁর সময়ের সবচেয়ে আলোচিত ও সমালোচিত কবি। তিনি জনপ্রিয় হয়েছিলেন শ্যামাসংগীত লিখে। তিনি হিন্দুদের ভালোবেসে শ্যামাসংগীত লিখেননি, তিনি শ্যামাসংগীত লিখিছিলেন শ্যামার প্রেমে অন্ধ হয়ে। মুসলমানদের মধ্যে নজরুলের বিরুদ্ধে  সবচেয়ে বড়ো অভিযোগের কারণ ছিল শ্যামাসংগীত রচনা। এক সময় পূর্ববঙ্গের বেতারেও নজরুলের শ্যামাসংগীত সম্প্রচার নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। মুসলিম হওয়ার কারণে হিন্দুদের একটা শ্রেণি নজরুলকে বিজাতি মনে করত। অন্যদিকে হিন্দু ধর্মের প্রতি অতি আগ্রহের জন্য একশ্রেণির মুসলমান নজরুলকে কাফের ঘোষণা করেছিল। কাফের ঘোষণা করায় ক্ষুব্ধ-নজরুল 'আমার কৈফিয়ৎ' কবিতায় লিখেছিলেন- '‘মৌ-লোভী যত মৌলবী আর ‘মোল্লারা ক’ন হাত নেড়ে, দেব-দেবী নাম মুখে আনে, সবে দাও পাজিটার জাত মেরে!'’ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালীন ভারতবর্ষ  ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের প্রস্তুতিতে উত্তাল। শক্তির প্রয়োগ তখন বিজয় অর্জন ও প্রাপ্তির অন্যতম উপায় হয়ে দাঁড়ায়।  সে সময় 'শাক্তদর্শন' নজরুলকে এত ব্যপকভাবে প্রভাবিত করে যে তিনি কালী সাধনা শুরু করেন এবং শাক্তধর্মে আনত হয়ে পড়েন। এসময় তিনি  ইসলামিক বিশ্বাসের উপর...

ইহা একটি উৎকৃষ্ট গরুর রচনা -ব্রাত্য রাইসু

গরুর রচনা সর্বদাই গরুর রচনা। কদ্যাপি উহা ছাগল কিংবা নদীর রচনা নহে। সংজ্ঞা: বিশেষ্য। অকর্মক সেইসব প্রাণী যারা তাদের সম্মানিত লেজের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান করেন তাদের গরু বলা হয়। সংঙ্গাহীনতা: উপযুক্ত সংজ্ঞার অভাবে অনেক গরুই আর শেষ পর্যন্ত গরুতে পরিণত হইতে পারে না। গরুর সংজ্ঞাহীনতার একটি পর্যায় আছে। সংজ্ঞাহীন গরুর আরেক নাম গাধা। ভূমিকা: ভূমিসংলগ্ন সকল বন্তু ও প্রাণীর ২টি করিয়া ভূমিকা থাকে। একটি ব্যক্তিগত ভূমিকা ও অপরটি সামাজিক। গরুর ব্যক্তিগত ভূমিকা এই যে, সে ভূমি হইতে উৎপন্ন ঘাস ও আগাছা ভক্ষণ করে। আর সমাজে দুধ সরবরাহের মাধ্যমে গরু তার সামাজিক ভূমিকাটি পালন করিয়া থাকে। কিন্তু গরু কখনোই ছাগল নয়। তার এই দুইটি ভূমিকা ছাড়াও আরেকটি অতিরিক্ত ভূমিকা (যদিও হিংসুকগণ একে গরুর অহমিকা বলিয়া জ্ঞান করে) আছে। তা হচ্ছে জাবর কাটা–গরু জাবর কাটে–এটি হচ্ছে গরুর রাজনৈতিক ভূমিকা। গরুর কাজ: গরুর চক্ষু আছে, ফলে সে ড্যাবড্যাব করিয়া তাকায়। গরুর দন্ত আছে কিন্তু সে কামড়ায় না। গরুর নাসিকা আছে, কিন্তু সে নাক গলায় না। আর গরুর আছে এক উত্তম কর্ণ ব্যবস্থা, যার কারণেই পৃথিবীর তাবৎ উপদেশবাক...

গল্প ~তসলিমা নাসরিন

ভাজা মাছ উল্টে খেতে পারে না ধরনের এক ছেলে আমাকে একদিন বলল---আমার খুব কষ্ট। আমি তার ঘন চুলে নিবিড় আঙুল রেখে বললাম ---মাঠ জুড়ে সাদা জ্যোৎস্না নেমেছে, চল ভিজি। চল মেঘলা ভোরে অরণ্য পেরোই। শীতলক্ষায় উলটো সাঁতার কাটি। ছেলে বলল---বড্ড খিদে পায় আজকাল। আমি তাকে সর্ষে বাটা ইলিশ, চিতল মাছের কোপ্তা, চিংড়ির মালাইকারি আর আস্ত একটা মুরগির রোস্ট খেতে দিলাম। খাবার পর একটা তবক দেওয়া পান। খাওয়া হল। রাতে জ্যোৎস্নায় ভেজাও হল। ভোরের অরণ্য পেরনো হল, ছেলের মনও হল ভাল দুপুরের দিকে ভর-পেট এবং ভর-মন নিয়ে ছেলে বলল---যাই। সেদিন হঠাৎ দেখি পাশের বাড়ির কিশোরীকে সে তার খিদে ও কষ্টের কথা বলছে কিশোরী তাকে বসতে দিচ্ছে, খেতে দিচ্ছে।

কি নামে ডেকে বলবো তোমাকে

কি নামে ডেকে বলবো তোমাকে মন্দ করেছে আমাকে ঐ দুটি চোখে। আমি যে মাতাল হাওয়ারই মত হয়ে যেতে যতে পায়ে পায়ে গেছি জড়িয়ে। কি করি ভেবে যে মরি বলবে কি লোকে মন্দ করেছে আমাকে ঐ দুটি চোখ...